সিটি করপোরেশন অফিসের সিঁড়ি বেয়ে নামছেন অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। নিচে দাঁড়িয়ে হালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।
বাবুকে নামতে দেখেই হু হু করে কেঁদে ফেললেন ফারিণ। তার চোখ দিয়ে জল ঝরল অনবরত।দৃশ্যটি অবশ্যই নাটকের।
নাম ‘আমার কেরানি বাবা’। কিন্তু ওই দৃশ্যে সত্যি সত্যি কেঁদেছিলেন ফারিণ। পরিচালক শ্রাবণী ফেরদৌস কাট বলছেন, কিন্তু ফারিণের কান্না থামার নয়।
শিল্পীকে এমন সত্যি সত্যি কাঁদতে দেখে চোখ ছলছল করে ওঠে শুটিং ইউনিটের প্রায় সবারই। সবাই চোখের জল মুছলেন।
পরিচালক শ্রাবণী ফেরদৌস বলেন, ‘দৃশ্যটি নেওয়ার সময় আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কোনো গ্লিসারিন ছাড়াই দৃশ্যটি করছিলেন ফারিণ।
দৃশ্য শেষ হওয়ার পরও কান্না থামছিল না তার। পুরো ইউনিট স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। কিন্তু সে যে এত ভালো অভিনয় করেন, বুঝতে পারিনি।’
বাবুকে দেখে কেঁদে ফেললেন ফারিণ, হতবাক সবাইএভাবে কান্নার কারণ জানাতে গিয়ে ফারিণ গণমাধ্যমকে জানান, কয়েকদিনের শুটিংয়ে ফজলুর রহমান বাবুর মাঝে নিজের বাবাকে অনুভব করেছিলেন তিনি।
ক্যানসার আক্রান্ত বাবার কথা ভেবে কোন মেয়ের না কান্না আসে! ফারিণের আবেগকে অনুভব করতে হলে নাটকের ঘটনায় ঢুকতে হবে।
‘আমার কেরানি বাবা’ নামের নাটকটি লিখেছেন পরিচালক শ্রাবণী ফেরদৌস নিজেই।
যেখানে দেখানো হবে – আবদুল করিম (ফজলুর রহমান বাবু) সিটি করপোরেশনের একজন চাকরিজীবী। বিপত্নীক। ঘরে একমাত্র মেয়ে সুফিয়া (ফারিণ)। এরপরও সংসার চালাতে হিমশিম খান বাবু।
বাবুকে দেখে কেঁদে ফেললেন ফারিণ, হতবাক সবাইমেয়ে সুফিয়া বাবার ওপর যে কারণে বিরক্ত। অন্যদিকে বাবার টাকাপয়সাগুলো সুযোগ পেলে প্রেমিকের পেছনে খরচ করেন সুফিয়া। এদিকে বাবা দূরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত, যা সুফিয়া জানতেন না। বাবা জানান না মেয়েকে।
35
পরে সুফিয়া জানতে পারে তার বাবার ক্যানসার, বেশিদিন বাঁচবেন না। গভীর অনুশোচনায় ভুগেন সুফিয়া। দৌড়ে ছুটে যান বাবার অফিসে। সেখানে বাবাকে দেখে কেঁদে ফেলেন সুফিয়া।
দৃশ্যটির বিষয়ে তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘বাস্তবে বাবার প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। শুটিংয়ের তৃতীয় দিন ছিল এই দৃশ্যটি। টানা তিন দিন একসঙ্গে শুটিংয়ে চরিত্রের
মধ্যে থাকার কারণে বাবু ভাইকে বাবার মতোই অনুভব হয়েছিল। সবকিছু মিলে আমি এমনভাবে চরিত্রটির সঙ্গে মিশে গিয়েছিলাম, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। দৃশ্য শেষ হওয়ার পরও আমি কাঁদছিলাম।’
পরিচালক নিজেই। এতে ফারিণের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তামিম মৃধা। পরিচালক জানান আসন্ন ঈদুল ফিতরে এনটিভিতে প্রচারিত হবে নাটকটি।